Click to open expanded view
About the Book:- পরাশরের অনুসরণে যে সমস্ত গ্রন্থ রচিত হয়েছিল, তার মধ্যে দ্রাবিড় তামিলনাদ নিবাসী ভেঙ্কটেশ রচিত“সৰ্ব্বার্থ চিন্তামণি”তে আধুনিক জ্যোতিষীদের মতে পরাশরের মতবাদ সম্পূর্ণভাবে অনুসৃত হয়েছে। “সৰ্ব্বার্থ চিন্তামণি” অতি বৃহৎ গ্রন্থ—পরাশরের অনুসরণে কেমন ভাবে জ্যোতিষের সূত্রাদির গবেষণা করা হয়েছে তার উদাহরণ স্বরূপ এই পুস্তকের শেষ ভাগে সর্ব্বার্থ চিন্তামণির দ্বাদশ ভাব বিচারের সূত্র ও যোগগুলির অনুবাদ সংযোজিত করা হল। এইভাবে সর্ব্বার্থ চিন্তামণির ৮৬৭ সংখ্যক শ্লোক এই পুস্তকে সন্নিবেশিত হয়েছে।
মহর্ষি পরাশর তাঁর হোরা শাস্ত্র মৈত্রেয়র সঙ্গে কথোপকথন—এই ভঙ্গীতে রচনা করেছেন। প্রাচীন কালের অধিকাংশ গ্রন্থই এইভাবে রচিত হওয়ায় গ্রন্থ কলেবর কিছু বর্ধিত হয়। সে সময় কাগজ ও মুদ্রাযন্ত্র আবিষ্কৃত হয়নি—তবু কেন যে, শাস্ত্রকারেরা এইভাবে গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, তা বলতে পারা যায় না।
হয়তো এরূপ পদ্ধতির মধ্যে নিগূঢ় উদ্দেশ্য থাকা সম্ভব, তাই আমার এই গ্রন্থটিতেও পরাশরের
দ্বারাই বজায় রেখেছি। কিন্তু কিছু কিছু শ্লোক পূর্ব্বে উল্লেখিত মত পরিবর্জ্জন করায়
মহর্ষির অধ্যায় বিন্যাস ঠিক মত বজায় রাখা যায় নি। তাই প্রত্যেক অধ্যায়ের শেষে পাঠকদের
জ্ঞাত একারণে মহর্ষির অধ্যায় ও শ্লোক সংখ্যা বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। সব্বার্থ
চিন্তামণির অনুবাদ স্থলে ঐরূপ প্রণালী অবলম্বিত হয় নি।
যদিও পরাশরোক্ত রাশি দশা সম্বন্ধিয় শ্লোকগুলি প্রথমে বৰ্জ্জন করেই অনুবাদের কাজ করা হয়েছে—কিন্তু রাশি দশা জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি প্রকাণ্ড ব্যাপার—এটিকে অপ্রচলিত বোধে সম্পূর্ণ বর্জ্জন করলে এই অনুবাদ গ্রন্থখানিই দোষ দুষ্ট হয়ে পড়ে এবং তার অঙ্গহানি ঘটে—তাই রাশি দশা বিষয়ে একটি দীর্ঘ অধ্যায় গ্রন্থ মধ্যে সংযোজিত হয়েছে। সাবন শুদ্ধি বিষয়ে পরাশর কোন কথাই বলেন নি কিন্তু জ্যোতিষী মাত্রেই সাবন শুদ্ধি করে থাকেন। সেজন্য সাবন শুদ্ধির বিষয়েও একটি অধ্যায় সংযোজিত করা হয়েছে। আলোচ্য গ্রন্থে মূল শ্লোকের অনুবাদ ব্যতিত মধ্যে মধ্যে কিছু কিছু গাণিতিক সারণির সংযোজনা করতে হয়েছে—তবে টীকা ও টিপ্পনীর বহুল প্রয়োগ গ্রন্থখানিকে ভারাক্রান্ত করে তোলা হয় নি।