
Click to open expanded view
About the
Book:- হাঁটা, চলা, কথা বলা, চোখ, কান, নাক, হাত, মুখ, যোনি ইত্যাদি দেখে মানুষের প্রকৃতি নির্ণয় করা যায়। এ যেন মানুষের অন্তর মনের বহিরঙ্গ প্রকাশ, হাবভাব থেকেও মানুষের মনুষ্য চরিত্র নির্ধারণ করা সম্ভব। এই শাস্ত্রে পারদর্শিতা লাভ করতে হলে সবচেয়ে আগে যা দরকার তা হলো, পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ। শার্লক হোমসের (কোনান ডায়াল) ভাষ্য অনুযায়ী, “পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণের মধ্যমে সামান্য বস্তু থেকেও অসাধারণ অনেককিছু জানা যায়। বস্তুতঃ যুক্তি ও বিশ্লেষণ একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি, যা দিয়ে নির্ভুল সিদ্ধিলাভ করা যায়।”
পর্যবেক্ষণ, পর্যবেক্ষণ আর পর্যবেক্ষণ সঙ্গে চাই অনুমান ক্ষমতা। যে অনুমান ক্ষমতার জন্ম দেয় ধারণা “দেশবদ্ধচিত্তস্য ধারণা”— পাতঞ্জল। মনকে স্থান বা বস্তুবিশেষে নিবদ্ধ করার নামই ধারণা। সঙ্গে চাই মনস্তত্ত্ব জ্ঞান, যা ধ্যান থেকে আসে। মানুষের মন স্পর্শ করার ক্ষমতা এই শাস্ত্রে শাস্ত্রী হওয়ার অন্যতম অপরিহার্য বিষয়। শরীরের ভাষা, থট্ রিডিং-যাই বলুন না কেন, তা পড়তে গেলে, যোগ বিদ্যা অধ্যায়ন করা দরকার। যোগ কী? যোগান্বিত্ত বৃত্তি নিরোধঃ। পুনঃ পুনঃ অভ্যাসের মধ্য দিয়ে চিত্ত বা মনের বহুমুখী বৃত্তিকে বশীভূত করা যায়। চপল মন রূপ ঘোড়া লাগাম লাগাতে পারলেই চিত্তকে বস করা যাবে।
স্রেফ বাইরে থেকে অতীত, ভবিষ্যৎ,
বর্তমান সহ চরিত্র, বংশপরিক্রমা ও প্রকৃতির গতি জানা- চেনার সূচনা কিন্তু আজকের নয়।
অন্যান্য শাস্ত্রের মতই মানুষ, মানুষকে, প্রকৃতিকে দেখতে দেখতেই তার সম্পর্কে জানতে
শুরু করেছে। নিজেকে জানা অপরকে বোঝা ঠিক যেমন— নাক টিকালো হলে কি হয় ? মোটা মাথার
ফল কি? কোঁকড়া চুল কোন বৈশিষ্ট্যের ইঙ্গিত দেয়? লম্বা বেঁটে হাত-পা-অঙুল-নখ-চুল-কপাল-লিঙ্গ-
যোনি কি প্রকৃতি বা রোগ শোকের বার্তা বহন করে ? এই বই পাঠ করতে শুরু করলে প্রথমে আপনি সাফল্য নাও
পেতে পারেন। তবে ধরে রাখুন, ভুলের সংখ্যা বাড়ান- পর্যবেক্ষনের পর পর্যবেক্ষণ চালান,
দেখবেন এক সময়ে আপনি শরীরের ভাষা পড়তে পারছেন।