



Click to open expanded view
About the Book:- Vaastu by Surendra Kapoor | বাস্তু | সুরেন্দ্র কাপুর | সমগ্র সৃষ্টিজগৎ-এর মূল উপাদান ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এবং ব্যোম—এই পাঞ্চভৌতিক তত্ত্বের মধ্যেই বিশ্বের প্রাণের বীজ লুক্কায়িত। প্রাণীজগৎ প্রকৃতির অমোঘ বিধান মেনেই স্বাভাবিক ছন্দে কাল কাটিয়ে এসেছে। প্রজ্ঞা দৃষ্টিসম্পন্ন প্রাচীন জ্ঞানীশ্রেষ্ঠ মুনিঋষিদের অনন্য আবিষ্কার বাস্তুশাস্ত্র—যা দাঁড়িয়ে আছে গভীর অবলোকন এবং গবেষণার ঘণীভূত প্রকাশ হিসেবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা (WHO)-র
মতে পৃথিবীর
প্রায় শতকরা
তিরিশ শতাংশ
আবাস-ই
বিভিন্ন কারণে
বাস্তুদোষ যুক্ত
(Sick Building) এবং আমাদের
শরীরের শতকরা
নব্বই শতাংশ
রোগব্যাধি জিওপ্যাথিক
স্ট্রেস (Geopathic Stress) ও
পরিবেশজনিত কারণে
হয়ে থাকে৷
বাস্তুশাস্ত্রে এই
বিপদমুক্তির হদিশ
আছে।
সময়ের সঙ্গে
সঙ্গে মানবসভ্যতা
দ্রুতগতিতে এগিয়ে
চলেছে। জীবন
এখন অতি
গতিময়৷ নিমেষেই
আমরা পৃথিবীর
যে-কোনও
প্রান্তের খবর
পেতে পারি,
পৌঁছতে পারি
এ প্রান্ত
থেকে অন্যপ্রান্তে
জেগতিতে৷ আধুনিক
উন্নত বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি
ভোগসুখের চূড়ান্ত
বিধিব্যবস্থা করে
দিলেও, ভোগের
পাশাপাশি দুর্ভোগকে
এড়িয়ে যেতে
পারছে না
মোটেও। মারণব্যাধির
উদ্ধৃত আক্রমণ
সমগ্র মানবসভ্যতাকে
এক মহাদুঃস্বপ্নের
দ্বার প্রান্তে
এনে ফেলেছে।
প্রকৃতি যে
সুসমছন্দের ওপর
দাঁড়িয়ে থাকে
তাকে চূড়ান্তভাবে
অস্বীকার করার
ফলেই আজ
রুষ্টপ্রকৃতি নানাভাবে
আমাদের শাস্তি
দিচ্ছে। কীভাবে
মানবজাতি প্রকৃতির
বিধি-বিধান
মেনে বাড়ি-ঘর,
আবাসন, কল-
কারখানা, রাস্তাঘাট,
ব্রিজ ইত্যাদি
তৈরি করতে
পারে—
তারই বাস্তবসম্মত
বিধিনির্দেশ আমরা
বাস্তুশাস্ত্রে পেতে
পারি।
প্রায় তিন দশক ধরে প্রাচীন অথচ কালোত্তীর্ণ এই শাস্ত্রের ব্যবহারিক কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে অনেক মানুষের বাস্তুত্রুটি সংশোধন করে অনেকের উপকারে আসতে পেরেছি—এটি