
Click to open expanded view
About the
Book:- ‘গীতা সুগীতা কর্তব্যা’–এই কথাটি বহুল শ্রুত অর্থাৎ যারাই এদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসু এবং তার ফলে গীতার মহত্ত্ব তথা সারবত্তা সম্পর্কে যাঁদের কিছুটা হলেও ধারণা আছে, তাঁরা এই কথাটি শুনে থাকবেন। কিন্তু গীতাকে সুগীত করার উপায় কী ? যাঁরা শ্রদ্ধালু কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় যাঁদের অধিকার নেই, তাঁদের পক্ষে সুষ্ঠুভাবে ঠিক ঠিক উচ্চারণ করে গীতা পাঠ একপ্রকার অসম্ভব বলা যেতে পারে। প্রথমেই অবশ্য এই কথাটি বলে রাখা উচিত যে গীতার সংস্কৃত খুব একটা দুরূহ নয়, যারা সাধু বাংলার সঙ্গে পরিচিত তারা গীতার অনেক শ্লোকেরই অর্থ কিছুটা হলেও বুঝতে পারেন। অসুবিধা হয় পাঠের বেলায়, কারণ গীতা শ্লোকাকারে অর্থাৎ কবিতায় নিবদ্ধ। কবিতার ছন্দ থাকে, এক্ষেত্রেও আছে, এবং ছন্দের বিভাগ ঠিকমতো না করতে পারলে ঠিকমতো পাঠ করা যায় না।
এই সব কথা মনে রেখেই সংস্কৃতানভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও যাতে মোটামুটি শুদ্ধভাবে গীতা পাঠ করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে এই ‘সরল গীতা’র প্রকাশ। এখানে প্রতিটি শ্লোকের
চারটি চরণ আলাদা করে বোঝানোর জন্য আলাদা রঙে ছাপা হয়েছে। পাঠক শুধু এইটুকু অনুসরণ
করলেই ছন্দ ঠিক ঠিক ভেঙে পড়তে পারবেন। সন্ধির জটিলতার মধ্যে না ঢুকে শুধুমাত্র উচ্চারণের
সুবিধার জন্য প্রয়োজনমতো কোনো কোনো বর্ণকে আলাদা করে দেখানো হয়েছে। যাঁরা গীতাপাঠে
আগ্রহী, কিন্তু দুরূহ বিবেচনায় অগ্রসর হতে দ্বিধাগ্রস্ত হন, আমাদের অনুরোধ তাঁরা এই
‘সরল গীতা’ গ্রন্থটি নিয়ে একবার চেষ্টা করে দেখুন। অবশ্যই ‘গীতা’-কে সুগীতা করার পক্ষে
অনেকখানি সহায়তা হবে এই পথ প্রদর্শকরূপ সংস্করণটি থেকে।