Click to open expanded view
।। শ্রীহরিঃ ।।
নিবেদন
বর্তমান যুগে
মানুষের স্বাস্থ্য-সচেতনতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তথা স্বাস্থ্য বৈদ্যুতিন (Electronic) সংবাদ-মাধ্যমে স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত নিয়মিত আলোচনা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকণের পরামর্শ ইত্যাদি বিষয়গুলির গুরুত্ব সহকারে প্রচার
থেকেই একথা প্রমাণিতহয়। দেশের তরুণ প্রজন্ম স্বাস্থ্য সম্পর্কে উৎসাহী
– এটি জাতির পক্ষে
সুলক্ষণ। স্বাস্থ্যের সুরক্ষার সঙ্গে খাদ্য-গ্রহণের প্রশ্নটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত হওয়ার
ফলে সকলের মধ্যেই
এ বিষয়েও বিশেষ
কৌতূহল ও জিজ্ঞাসা স্বাভাবিকভাবেই জেগে ওঠে।
কী ধরণের খাদ্য
আমাদের শরীরের পক্ষে
অনুকূল এবং পরিণামে হিতকর তা জানা
থাকলে বহুবিধ রোগ-ব্যাধির হাত থেকে
মুক্তি পাওয়া যেতে
পারে। এই প্রসঙ্গেই আমিষ এবং নিরামিষ আহারের গুণাগুণ নিয়ে
আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে হয়,
কারণ বহু মানুষেরই এ বিষয়ে স্বচ্ছ
ধারণা নেই। অধিকাংশ সভ্য দেশেই প্রাচীন কাল থেকে মনীষী
ও চিন্তাশীল ব্যক্তিরা নিরামিষ আহারের পক্ষে
বিভিন্ন যুক্তি উত্থাপন করে এসেছেন। আমাদের
এই ক্ষুদ্র পুস্তকে এই রকমই কিছু
বক্তব্যের সংকলন করা
হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে
গোরক্ষপুরের গীতা প্রেস
দ্বারা প্রকাশিত ‘ কল্যাণ ' পত্রিকায় মহাত্মা জয়দয়াল গোয়েন্দকা হিন্দী
ভাষায় এই বিষয়ে
কিছু তথ্যপূর্ণ মূল্যবাণ প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। এছাড়াও দিল্লীর‘ জৈন বুক
এজেন্সী ’ প্রকাশনা সংস্থা
থেকে বহুকাল পূর্বে
‘शाकाहार या मांसाहार-फैसल आप स्वयं
करें’ নামে হিন্দীতে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছিল যা এবিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করে।
এই লেখাগুলির কোনোটিই এখন সহজলভ্য নয়
বলে জিজ্ঞাসুদের সুবিধার্থে সেই মূল হিন্দী
রচনাগুলি বাংলায় অনুবাদ
করে নতুনভাবে সাজিয়ে দেওয়া হল। যত্নের
সঙ্গে এই অনুবাদের কাজটি করেছেন গায়ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। বইটির নামকরণেই স্পষ্ট-সিদ্ধান্তের দায়িত্ব
পাঠকগণের নিজস্ব, —প্রকাশকের পক্ষ থেকে কেবলমাত্র কিছু যুক্তি ও তথ্য একসঙ্গে সন্নিবেশিত
করা হয়েছে। এর বেশি কোনো বক্তব্য আমাদের নেই।
—প্রকাশক