Click to open expanded view
‘বৈষ্ণবাচার্য শ্রীহরিদাস গ্রন্থাবলীর পঞ্চম খণ্ড প্রকাশিত হল। এই খন্ডে নিবেদিত হল শ্রীজয়দেব দাস গোস্বামী বিরচিত সুবিখ্যাত কাব্য—‘শ্রীগীতগোবিন্দম্'।প্রথম খন্ডের নিবেদনে এই গ্রন্থাবলী প্রকাশের পশ্চাৎপট উল্লিখিত হয়েছে। ‘শ্রীগীতগোবিন্দম্ কেবল সংস্কৃত সাহিত্যেরই নয়, সমগ্র বিশ্বসাহিত্যের এক অসামান্য এবং অতুলনীয় মহারত্ন।এই গ্রন্থের প্রতিটি ছত্র পাঠকের হৃদয়ে সঞ্চার করে এক দিব্য মহানন্দের মধুঝঙ্কার — প্রবাহিত করে ভগবৎপ্রেমরসের নির্মল নির্ঝরিণী। গ্রন্থের প্রারম্ভে কবি-শিরোমণি জয়দেব সেই কথাই স্মরণ করিয়ে
দিয়েছেন—
যদি হরিস্মরণে সরসং মনো
যদি বিলাসকলাসু কুতূহলম্।
মধুর-কোমলকান্তপদাবলীং
শৃণু তদা জয়দেবসরস্বতীম্ ।। (প্রথম সর্গ)
(যদি হরিস্মরণে মন সরস করবার মন সরস করবার ইচ্ছা হয়, যদি বিলাসকলা জানবার কৌতূহল হয়, তবে জয়দেব বিরচিত এই মধুর-কোমলকান্ত পদাবলী শ্রবণ করুন।)
এই কাব্যে শ্রীশ্রীরাধামাধবের নিত্যনবায়মান দিব্য লীলাবিলাস বর্ণিত হয়েছে। রাসলীলার দুই ভেদ — নিত্যরাস ও মহারাস। আদিপুরাণে নিত্যরাস এবং শ্রীমদ্ভাগবত প্রভৃতি গ্রন্থে মহারাসের বর্ণনা সন্নিবিষ্ট। এছাড়া রাসলীলার শারদ ও বাসম্ভ অর্থাৎ শরৎকালীন এবং বসন্তকালীন রাস — এই দুটি ভেদও পরিলক্ষিত হয়। যদিও প্রতি পূর্ণিমাতেই রাসলীলা সংঘটিত হয়, কিন্তু শারদ ও বাসন্ত রাসের বর্ণনাই সর্বত্র দৃষ্ট হয়। শ্রীমদ্ভাগবতে শারদ এবং শ্রীগীতগোবিন্দে বাসন্ত রাসলীলা বর্ণিত হয়েছে।