Click to open expanded view
রাধা ও
কৃষ্ণের অপ্রাকৃত,
চিন্ময় প্রেমময়
সম্বন্ধ অনেকের
কাছেই দূরধিগম্য-তারা
প্রায়শই এবিষয়ে
ভুল ধারণা
পোষণ করে
থাকেন। শ্রীমতী
রাধারাণী ও
পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের
অপ্রাকৃত দিব্য
প্রেম বিলাসের
প্রকৃত তত্ত্ব
মানুষের জানা
প্রয়োজন, যাতে
তারা ভ্রান্ত
ধারণা করে
অপরাধ করা
ও এর
ফলে নিজেদেরকে
অবিন্যস্ত করা
থেকে রক্ষা
পাবেন। আমরা
সঠিক পরিবেশ
থেকে রাধা-কৃষ্ণের
দিব্য লীলা-মাধুরী
উপলব্ধি করার
চেষ্টা করব।
অজ্ঞতা বশত
সাধারণ মানুষ
এই বিষয়টি
সম্বন্ধে ভ্রান্ত
রুচি বিরুদ্ধ
মন্তব্য করে
থাকে। জড়ভাব,
দূষিত চিত্তে
তাঁদের চিন্ময় প্রেম-লীলা ধারণা করার চেষ্টা করা কখনই উচিত নয়। জাগতিক দৃষ্টিকোণ
থেকে তাঁদের শুদ্ধ চিন্ময় লীলা, তাঁদের অপার্থিব, অপ্রাকৃত প্রেম-সম্বন্ধ উপলব্ধি
করা সম্পূর্ণ অনুচিত। এই তত্ত্বটি কেমন সুসঙ্গতভাবে উপলব্ধি করতে হবে সে বিষয়ে শাস্ত্রোক্তির
ভিত্তিতে নীচে কিছু প্রসঙ্গ আলোচনা করা হল। ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলছেনঃ
অবজানন্তি মাং মূঢ়া মানুষীং তনুমাশ্রিতম্।
পরং ভাবমজানত্তো মম ভূতমহেশ্বরম্ ।।
অর্থাৎ আমি যখন মনুষ্যরূপে অবতীর্ণ হই, তখন মূর্খেরা আমাকে
অবজ্ঞা করে। তারা আমার পরম ভাব সম্বন্ধে অবগত নয় এবং তারা আমাকে সর্বভূতের মহেশ্বর
বলে জানে না। মূর্খ মানুষ ভগবানের চিন্ময় স্বরূপ জানে না বা উপলব্ধি করতে পারে না।
যখন পরমপুরুষ ভগবান তাঁর চিন্ময় লীলাবলী জনহিতার্থে প্রদর্শনের জন্য তাঁর চিন্ময়
ধাম হতে জড় জগতে অবতীর্ণ হন, তখন কিছু দুর্ভাগ্য পীড়িত মানুষ তা উপলব্ধি বা হৃদয়ঙ্গম
করতে পারে না। এই জড় জগতে ভগবানের অবতীর্ণ হবার কারণ জড় জগতে আবদ্ধ জীবদের চিৎ-জগতে
ভগবদ্ধামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। মানুষ যখন ভগবানের পবিত্র, মধুর দিব্য লীলা পাঠ বা
শ্রবণ করবে তখন তাদের চিত্তের জড় ভাব বিদূরিত হবে, শুদ্ধ হবে, তারা জড় বাসনা হতে
বিমুক্ত হবে এবং ক্রমশ তারা ভগবানের প্রতি আকৃষ্ট হবে ও ভগবদ্ধামে ফিরে যাবে।