![Bhagwater Monimukto: ভাগবতের মনিমুক্তো Bhagwater Monimukto: ভাগবতের মনিমুক্তো](https://divinecreationindia.com/image/cache/catalog/Gita_press/Bhagwater%20MoniMukto-460x550h.jpg)
Click to open expanded view
।। শ্রীহরিঃ
৷৷
নৈমিষারণ্যে শৌনকাদি ঋষিগণ
সুদীর্ঘকাল ধরে এক
যজ্ঞানুষ্ঠান করছিলেন। সেই
স্থানে রোমহর্ষণ-পুত্র
সূত উগ্রশ্রবার আগমন
হয়েছিল। সূত বক্তারূপে প্রসিদ্ধ ছিলেন। উপস্থিত ঋষিগণ তাঁর কাছে
শ্রীহরির কথা শুনতে
চাইলেন। ভগবৎ কথায়
প্রীতি আছে জেনে
ঋষিগণকে যে শ্রীহরিকথা সূত উগ্রশ্রবা শুনিয়েছিলেন তাই শ্রীমদ্ভাগবত। মহামতি, অশেষ-বুদ্ধি ব্যাসদেব ভাগবতের রচনাকার। ব্যাসদেব সম্বন্ধে বলা হয়ে থাকে
যে তিনি বেদান্তসূত্র, মহাভারত, পদ্মপুরাণ আদি
সতেরোটি পুরাণ রচনা
করে তৃপ্ত হতে
না-পেরে সর্বশেষে ভাগবত রচনা করেন।
অতএব ধরা যেতে
পারে যে ভাগবত
সকল পুরাণের সারবস্তুর সমন্বয়ে রচিত। ভাগবত
রচনা করে ব্যাসদেব তাঁর আজন্ম ব্রহ্মজ্ঞানী ও পরম তক্ত
পুত্র শুরুদেবকে তা
শিক্ষা দেন। সূত
সেই ভাগবতকথাই শৌনকাদি ঋষিগণকে বলেছিলেন। এই
প্রসঙ্গে সূত বলেছেন
বাসুদেবপরং
জ্ঞানং
বাসুদেবপরং
তপঃ।
বাসুদেবপরো ধর্মো বাসুদেবপরা গতিঃ ৷৷
(শ্রীমদ্ভাগবত ১।২।২১)
‘ জ্ঞানের দ্বারা ব্রহ্মস্বরূপ শ্রীকৃষ্ণকেই লাভ করা
যায়, তপস্যা শ্রীকৃষ্ণের প্রসন্নতার জন্যই করা
হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্যই
সমস্ত ধর্মানুষ্ঠান করা হয়
আর সমস্ত গতিই
শ্রীকৃষ্ণে সমর্পিত। ' অতএব ভগবান
শ্রীকৃষ্ণই হলেন এইমহাপুরাণের হৃদয়। শ্রীহরির নাম
ও তাঁর যশ
কীর্তনই ভাগবতের মূল
প্রতিপাদ্য বিষয়। ভাগবত
একাধারে বেদান্ত সিদ্ধান্তের আকর ও বেদান্তবেদ্য তত্ত্বকে সরস ভক্তিরসে সিক্ত করে রাগানুরাগ ভক্তিরূপে সহজলভ্য সুমিষ্ট ফল। বেদবৃক্ষের এই
সুমিষ্ট ফলের রসাস্বাদন কেবলমাত্র শুকচঞ্চু দ্বারাই সম্ভব হয়েছিল। শুক
যে সুমিষ্ট ফল
ছাড়া অন্য ফলে
চঞ্চু প্রহার করে
না তা সর্বজনবিদিত।