
Click to open expanded view
About the Book:- শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা কেবলমাত্র আমাদের সাধনজীবনেই নয়, সাংসারিক জীবনেও সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই গুরুত্ব অনুভব করবার একমাত্র পথ হল গীতায় প্রকাশিত শ্রীভগবানের উপদেশ এবং নির্দেশগুলির বাস্তবায়ন। এই বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন, সম্পূর্ণ গীতা গ্রন্থটির শ্রদ্ধা এবং ভক্তি-সহ পঠন, মনন এবং অনুসরণ। বর্তমান পুস্তকে প্রথম দুটি বিষয়ের (পঠন ও মনন) উন্নতি বিধানের জন্য বিবিধ বিজ্ঞানভিত্তিক প্রণালী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত। তথাপি এর ভাষা সহজ, সরল এবং সুললিত। বলা বাহুল্য, মহাভারতের অন্তর্ভুক্ত হলেও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা স্বতন্ত্র গ্রন্থরূপে স্বমহিমায় সুপ্রতিষ্ঠিত। শুধুমাত্র এর ভাষাই নয়, এর ভাবের মধ্যেও রয়েছে অনন্যতা। সেই অনন্যতাকে প্রকৃষ্ঠরূপে অনুভব করবার জন্য, সর্বপ্রথম গ্রন্থটি প্রকৃষ্টরূপে পাঠ করতে হবে এবং যথাসম্ভব অর্থ বুঝে গ্রন্থটিকে কণ্ঠস্থ করবার চেষ্টা করতে হবে। এই সদ্চেষ্টাকেই সহজতর করবার জন্য স্বামী রামসুখদাসজি মহারাজ অত্যন্ত সহজ অথচ কার্যকরীভাবে তাঁর স্বভাবসুলভ সহজ বক্তব্যের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রণালী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, সেই আলোচনাই বৰ্তমান গ্রন্থটিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
দেবভাষায় রচিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতারূপী এই অমূল্য সম্পদকে, বাচিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এত সহজে মনে রাখবার প্রক্রিয়া যে হতে পারে, তা এই গ্রন্থ পাঠ না করলে বোঝা যাবে না। তবে শুধুমাত্র গীতা গ্রন্থকে কণ্ঠস্থ করানোই এই পুস্তকের উদ্দেশ্য নয়। যে ধরনের প্রক্রিয়া তথা প্রণালীর মাধ্যমে গীতা গ্রন্থের অনুধ্যানের কথা এখানে বলা হয়েছে, তার দ্বারা যে কোনো ব্যক্তি অতি সহজেই অনায়াসে গীতার যৎকিঞ্চিৎ ভাব তথা রস একই সঙ্গে উপলব্ধি করতে পারবেন। প্রণালীবদ্ধভাবে পরমপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীমুখনিঃসৃত
বাণীকে বিভিন্ন উপায়ে কণ্ঠস্থ করতে করতে, সাধক অচিরেই তা আত্মস্থও করতে পারবেন, মূলত
সেই উদ্দেশ্যেই স্বামীজির এই উদ্যোগ এবং আমাদের এই প্রচেষ্টা।