
Click to open expanded view
About the Book:-
কৃষ্ণভাবনাময় ভক্ত এবং কৃষ্ণভাবনাহীন অভক্তের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হয় তাদের ভিন্ন বাসনার মাধ্যমে। কৃষ্ণভাবনার উন্নতিসাধনের পক্ষে যা সহায়ক নয়, কৃষ্ণভাবনাময় ভক্ত সেই রকম কোন কর্ম করেন না। এমনকি অবিদ্যার অন্ধকারে আচ্ছন্ন জড়-জাগতিক কার্যকলাপে আসক্ত মানুষের মতো তিনি একইভাবে নিযুক্ত হলেও একজন ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য এই ধরনের কার্যে নিয়োজিত, কিন্তু অপরজন নিয়োজিত শ্রীকৃষ্ণের প্রীতিবিধানের জন্য। তাই কিভাবে কর্ম সম্পাদন করতে হয় এবং তার ফল কৃষ্ণভাবনার উদ্দেশ্যে কিভাবে নিয়োজিত করতে হয়, তা মানবসমাজে প্রদর্শন করার জন্য কৃষ্ণভাবনাময় মানুষের প্রয়োজন।
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশাবলী সমস্ত বৈদিক জ্ঞানের সারমর্ম এবং তাই সন্দেহাতীতভাবে তা শাশ্বত সত্য। বেদ যেমন নিত্য, কৃষ্ণভাবনার এই তত্ত্বও তেমন নিত্য। ভগবানের প্রতি ঈর্ষান্বিত না হয়ে তাঁর এই উপদেশের প্রতি সুদৃঢ় বিশ্বাস থাকা উচিত। অনেক দার্শনিক ভগবদ্গীতার ভাষ্য লিখেছেন, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তাঁদেরকোন বিশ্বাস নেই। তাঁরা কোন দিনও সকাম কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। কিন্তু অতি সাধারণ কোন মানুষও যদি ভগবানের শাশ্বত নির্দেশের প্রতি দৃঢ় শ্রদ্ধাবান হয়, সে এই ধরনের নির্দেশগুলি পালন করতে অসমর্থ হলেও কর্মের অনুশাসনের বন্ধন থেকে মুক্ত হবে। ভক্তিযোগ সাধন করার প্রাথমিক পর্যায়ে কেউ হয়তো ভগবানের নির্দেশ পরিপূর্ণভাবে পালন নাও করতে পারে, কিন্তু এই পন্থার পরিপন্থী না হওয়ার জন্য এবং নৈরাশ্য ও ব্যর্থতা বিবেচনা না করে ঐকান্তিকতার সঙ্গে তা অনুষ্ঠান করার জন্য সে শুদ্ধ কৃষ্ণভাবনার পর্যায়ে অবশ্যই উন্নীত হবে।
- Stock: In Stock
- Author: Sri Tarak Krishna Das Brahmachari
- SKU: DCI-00485