



Click to open expanded view
About the Book:-
শ্রীচৈতন্য ভাগবতের রচয়িতা হলেন আদিব্যাস শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুর। এটি এক অমূল্য গ্রন্থ। এই গ্রন্থটিতে মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ প্রভুর অনেক লীলা, ব্যক্তিগত জীবন, সর্বোপরি প্রাঞ্জল ভাষায় ভাগবত-ভক্তিসিদ্ধান্তের সহজ প্রকাশ হয়েছে। পূর্বে এই গ্রন্থ শ্রীচৈতন্যমঙ্গল নামে পরিচিতি ছিল। শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী প্রভু শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থে তা উল্লেখ করেছেন। শ্রীল লোচন দাস ঠাকুর একই নামে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। কিংবদন্তি এই যে, শ্রীল লোচন দাস ঠাকুরের গ্রন্থটি শ্রীচৈতন্য ভাগবতের কিছু পূর্বে রচিত। শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের মাতা চৈতন্য মঙ্গল গ্রন্থ পূর্বে রচিত হওয়ার কথা বলায়, গ্রন্থখানির নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়েছিল। বর্তমানে এই গ্রন্থটিই শ্রীচৈতন্য ভাগবত নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। গ্রন্থ পরিচিতি ও রচনাশৈলী প্রসঙ্গে শ্রীলকৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর সুস্পষ্ট অভিব্যাক্তি –
নিত্যানন্দ কৃপাপাত্র বৃন্দাবন দাস ৷ চৈতন্য লীলার তেঁহো হয়েন ‘আদি ব্যাস’।।
মনুষ্যে রচিতে নারে ঐছে গ্রন্থ ধন্য। বৃন্দাবন দাস মুখে বক্তা শ্রীচৈতন্য।।
গ্রন্থ বিস্তার ভয়ে যে সমস্ত লীলা তিনি সূত্ররূপে প্রদান করেছেন (বিস্তারিয়া বেদব্যাস করিবেন বর্ণনে .......) তাই শ্রীল কবিরাজ গোস্বামী বিস্তার করেছেন। তবে ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর এই জগতে লীলা বিলাসের শুরু ও শেষ জানতে হলে শ্রীচৈতন্য ভাগবত অবশ্যই পাঠ করতে হবে। শ্রীচৈতন্য ভাগবত এক অনবদ্য জীবন চরিত। এটি সাহিত্য রসে উত্তীর্ণ। এটি এক মহান ধর্মগ্রন্থ। ভক্তি ও নীতি শিক্ষার দিগদর্শক। মহাপ্রভুর জীবন যাত্রার সচল জলছবি। আমরা গ্রন্থটির শব্দকোষ ও প্রতিটি অধ্যায়ের সারকথাসহ প্রকাশ করে ভক্তগণের মঙ্গল জনক কার্য সম্পাদন করার চেষ্টা করছি।
‘শ্রীচৈতন্য চন্দ্রের দয়া করহ বিচার।
বিচার করিলে চিত্তে পাবে চমৎকার।।’
এটাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর চমৎকারীতা, জগতের প্রতি উদারতা। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সম্পর্কে ভালোভাবে জানলেই আমরা ভক্তিতে উন্নতিলাভ করতে পারব। চৈতন্য মহাপ্রভু সম্বন্ধে তথ্য প্রদান করে বহু বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। তার মধ্যে শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুর রচিত শ্রীচৈতন্য ভগবত গ্রন্থটি অন্যতম। যার মধ্যে কৃষ্ণভক্তি লাভের সমস্ত সিদ্ধান্ত প্রতিপাদিত হয়েছে। গ্রন্থটি ভক্তদের কৃষ্ণভক্তি লাভে অগ্রসর হতে কার্যকরী হবে।